ওয়ার্ডপ্রেস কি ? ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন ?

5/5 - (1 vote)

ওয়ার্ডপ্রেস কি ? ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপ্লিকেশন এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরিকৃত ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার। ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন? ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোনো প্রকার পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রোফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। তাই দিন দিন ওয়ার্ডপ্রেস চাহিদা এবং কাজের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য বর্তমানে সেরা সিএমএস প্ল্যাটফর্ম। ম্যাট মুলেনওয়েগ ২০০৩ সালের ২৭শে মে এটি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করেন।

WordPress

ওয়ার্ডপ্রেস কি ?

WordPress হলো সব থেকে বেশি পপুলার একটি Open Source Content Management System (CMS), যেটা জেকেও নিজের ওয়েব সার্ভারে (web server) ফ্রীতেই ইনস্টল করে, যেকোনো রকমের একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী কিন্তু অনেক সহজ একটি ফ্রি অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যম যেটাকে PHP র দ্বারা লিখা হয়েছে।

মনে রাখবেন, ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা ওয়েবসাইট বানানোর জন্য, আপনার একটি ওয়েব হোস্টিং একাউন্ট বা হোস্টিং সার্ভার থাকতে হবে। এবং, তারপর আপনি নিজের সার্ভারে এই WordPress CMS install করে যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

এমনিতে, ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আরো অনেক ধরণের online CMS software রয়েছে। যেমন, Joomla, Drupal, Typo3.

ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কে সংক্ষেপে WP বলা হয়ে থাকে। WordPress Free এবং Open Source হওয়ায় চাইলে এর সবকিছুই নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয়া য়ায়।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন কি ?

একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন হলো এক ধরণের আলাদা সফটওয়্যার, যেটা নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ইনস্টল করে, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কার্যক্ষমতা, ফাঙ্কশন বা ফিচারস (features) বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

WordPress plugin, আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো function এর কর্মক্ষমতা অধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। এবং, তাছাড়া বিভিন্ন নতুন নতুন functions ওয়েবসাইটে যোগ করতে পারে।

এটা, কিছু পরিমানে মোবাইলের applications এর মতোই বলা যেতে পারে। যেভাবে, আমরা Google play store এ গিয়ে, বিভিন্ন রকমের apps মোবাইল ফোনে install করে নতুন নতুন functions যোগ করি, ঠিক সেভাবেই, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটেও আমরা বিভিন্ন ফ্রি বা পেইড plugin ইনস্টল করে, নিজের ওয়েবসাইটে অসংখক function যোগ করে নিতে পারি।

WordPress লোকেদের মধ্যে এতোটা বিখ্যাত হওয়ার কারণ এটাও যে, নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে আলাদা করে যেকোনো function যোগ করার জন্য, আপনারা হাজার হাজার ফ্রি প্লাগিন পেয়ে যাবেন।

উদাহরণ স্বরূপে, নিজের ব্লগে বা ওয়েবসাইটে প্লাগিন এর মাধ্যমে আলাদা করে, social media sharing button, email subscription box, social media profiles, website security options, author box, related articles options এবং আরো হাজার হাজার নতুন functions যোগ করতে পারবেন।

এতে, অনেক সহজে আপনি নিজের ওয়েবসাইটকে নিজের হিসেবে তৈরি করতে পারবেন। সে চাই, ডিজাইনের দিক দিয়ে হোক, নিরাপত্তার দিক দিয়ে হোক বা নতুন নতুন ফাঙ্কশন ওয়েবসাইটে যোগ দেয়ার কথা হোক, সবটাই প্লাগিন ব্যবহার করে সহজেই করে নিতে পারবেন।

Official WordPress plugin directory তে আপনারা হাজার হাজার ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন পেয়ে যাবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন ?

বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোন সাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন খুবই কম সময়ে। কেবল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারই নয় কর্পোরেট এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতেও এখন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চাহিদা অনেক। আসুন জেনে নিই যে কারনে ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন-

  • ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমান সময়ে সর্বধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপ্লিকেশন এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)।
  • বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৬০% ওয়েব ডেভেলপার ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্ম ব্যবহার করে।
  • ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই যে কোন ধরনের সাইট তৈরি করতে পারবেন।
  • বর্তমান মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
  • ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোন প্রকার পিএইচপি মাইএসকিউএল এবং এইচটিএমএল এর সাধারণ জ্ঞান থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা প্রফেশনাল মানের সংবাদপত্র, কর্পোরেট ওয়েবসাইট, পার্সোনাল ওয়েবসাইট, কোম্পানী ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট, ক্লাসিফাইড সাইট অথবা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
  • ওয়ার্ডপ্রেস মাধ্যমে ই-কমার্স সাইট, বিজনেস সাইট সহ সকল প্রকার ওয়েব সাইটকে ডায়নামিক করা যাবে।
  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট এর অনেক চাহিদা থাকায়, সেখানে প্রচুর কাজ করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপ ফার্ম এ ভাল বেতনের চাকরি করতে পারবেন।
  • এক তথ্যমতে পুরো ইন্টারনেট জগতের কমপক্ষে ১৯ শতাংশ ওয়েবসাইট এখন ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে তৈরী। টেক সাইটগুলোর কথা বিবেচনা করা হলে এটি হবে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

ওয়ার্ডপ্রেস কেন ব্যবহার করবেন ?

তাহলে, ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাপারে এতো কিছু বলার পর, এখনো যদি আপনার মনে এই প্রশ্ন আসছে যে, ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো? তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার কারণ অনেক।

  • ওয়ার্ডপ্রেস একটি advanced এবং multi functionality CMS software যেটা আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারছেন।
  • যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট এখানে বানানো সম্ভব।
  • অনেক সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার শিখতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ফ্রি themes এবং plugins এর মাধ্যমে, নিজের ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং ফাঙ্কশন বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
  • SEO friendly blog বা website বানাতে পারবেন।
  • WordPress অনেক নিরাপদ এবং ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবতে হবেনা।
  • যেকোনো ধরণের media file যেমন, video, audio, images আপনারা আপলোড করে, নিজের আর্টিকেলের সাথে যোগ করতে পারবেন।

তাহলে, এখন বুঝলেন তো ? ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট বানানোর লাভ ও সুবিধে অনেক রয়েছে। তাই, একটি ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে অবশই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেই ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব ?

একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হওয়া সময় এবং কষ্ট সাপেক্ষ ব্যাপার। কোন প্রতিষ্ঠানই কাউকে দক্ষ ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে না  বড়জোর এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। দক্ষ ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে নিজের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। তবে পরিকল্পিতভাবে লেগে থাকলে অবশ্যই শেখা সম্ভব। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য অবশ্যই এইচটিএমএল, সিএসএস জানতে হবে। সেই সঙ্গে জেকুইয়ারী, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্যে পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল জানার প্রয়োজন হবে। আর কেবল ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনের জন্য এইচটিএমএল, সিএসএস এবং ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রেমওয়ার্কেরও ব্যবহার জানা থাকলেই চলবে। আগেই বলেছি কিছু টিউটোরিয়াল পড়ে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল আর কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারলেই কেউ দক্ষ ডেভেলপার হয়ে যেতে পারেনা। সেজন্যে তাকে হয়তো এক্সপার্ট বলা চলে। দক্ষ হতে গেলে প্রচুর শ্রম, মেধা এবং সময়ের প্রয়োজন। তাই চেষ্টা করুন এক্সপার্টের চেয়ে বেশি কিছু হতে।

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব ?

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্যে অসংখ্য রিসোর্স রয়েছে, হাজার হাজার মানুষ কথা বলছে অনলাইনে। এই কোলাহলের মাঝে ভাল রিসোর্স খুজে পাওয়া আসলেই খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। তাই যদি ভাল কিছু শিখতে চান তবে ভাল মানের রিসোর্স বেছে নিন, আর মনোযোগ দিন সেই রিসোর্সের প্রতি। নিচে আপনাদের কিছু ভালো রিসোর্সের সন্ধান দেয়ার চেষ্টা করছি ।

ওয়ার্ডপ্রেস কোডেক্সঃ

খুব বেসিক থেকে শুরু করে মাস্টারিং পর্যায়ে যেতে চাইলে সবচেয়ে ভাল রিসোর্স হল ওয়ার্ডপ্রেস কোডেক্স। কারণ এটি ইউজারদের কথা বিবেচনা করে সেভাবেই তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়া শিখতে পারেন থিম ডিজাইন এবং প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট।

ওয়ার্ডপ্রেস বইঃ

অসংখ্য বই রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেসের উপর। নিজের আগ্রহ বুঝে শুরু করেই দেখুন না কি হয়। কি, বুঝতে পারছেন না কোনটি থেকে শুরু করা যায়! কোন সমস্যা নেই, ডামিস সিরিজের “ওয়ার্ডপ্রেস ফর ডামিস” বইটি দেখুন। বইটি কিন্তু বেশ কাজের। তবে যে বইটিই পড়ুন না কেন, বইটির শেষ হলে এর উপর একটি রিভিউ লিখার পাশাপাশি লেখককে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না যেন।

ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগঃ

সেরা ব্লগগুলো খুজে বের করুন, ফিড সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। নিয়মিত আপডেটগুলো পড়ুন এবং ফিডব্যাক দিন। কিছু পছন্দের ব্লগ স্ম্যাসিং ম্যাগাজিন, ওয়ার্ডপ্রেস টিউটসপ্লাস, ওয়ার্ডপ্রেস ক্যান্ডি।

তাছাড়া প্রফেশনালি কাজ করছেন এমন কারো কাছেও শিখতে পারেন। বাংলাদেশে ডেভসটিম ইনস্টিটিউটে দেয়া হচ্ছে এর উপর প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ, চার মাসের এই প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করে আপনিও শুরু করতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন কি ?

সহজ কথায়, ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি সিএমএস (CMS) বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। আরেকটু বিশদ বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হল পিএইচপি ও মাইএসকিউএল ভিত্তিক একটি বিশেষ অনলাইন টুল যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আর উইকিপিডিয়ার ভাষ্য অনুসারে – ওয়ার্ডপ্রেস হল ফ্রী ও ওপেনসোর্স ব্লগিং টুল এবং একটি শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর উপর ভিত্তি করে তৈরিকৃত।

কিভাবে ক্যারিয়ার গড়বো ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনে ?

প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়ার্ডপ্রেস থিম সেল হয় থিম মার্কেটপ্লেস গুলোতে। তবে গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে সব গুলো থিম রেডি থাকেনা ওগুলোকে গ্রাহকের ডিমান্ড অনুসারে কাস্টমাইজ করে নিতে হয়। তাই ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস থিম  কাস্টমাইজেশনের প্রচুর কাজ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনের কাজ শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে সহজে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

WordPress এর লাভ ও সুবিধে (Benefits of using WordPress)

WordPress, অনলাইনে ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি করার সব থেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হওয়ার প্রধান কারণ হলো, এই সফটওয়্যার এর প্রচুর লাভ রয়েছে.

  1. প্রথমেই, এরকম একটি অ্যাডভান্সড (advanced) ধরণের সফটওয়্যার আপনারা ফ্রীতেই পেয়ে যাচ্ছেন। WordPress ব্যবহার করার জন্য আপনার কোনো টাকা দিতে হয়না।
  2. অনলাইন সফটওয়্যার হওয়ার জন্য, আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কাজ যেকোনো জায়গার থেকেই করতে পারবেন। আপনার কেবল একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেক্শনের প্রয়োজন হবে।
  3. WordPress সম্পূর্ণ ভাবে SEO friendly মানে, ওয়ার্ডপ্রেস এমন কিছু সহজ এবং standard রকমের codes ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে যেগুলির জন্য অনেক সহজে আপনার ওয়েবসাইট ও ব্লগ Google search engine এ index হতে সাহায্য করে।
  4. WordPress আজ কোটি কোটি webmasters দের ভরসা। এবং এই ভরসা বজায় রাখার জন্য, ওয়ার্ডপ্রেস তার নিরাপত্তার দিগে অনেক ভালো ভাবে ধ্যান দিয়েছে। একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বা ওয়েবসাইট, হ্যাক (hack) করা বা তার ক্ষতি করাটা কিন্তু ৯৮% অসম্ভব।
  5. কেবল ব্লগ বা সাধারণ ওয়েবসাইট না, আপনি এই CMS software ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করতে পারবেন। যেমন, social media website, e-commerce website, company website, forum এবং আরো অনেক ধরণের।
  6. হাজার হাজার ফ্রি থিম (theme) এবং প্লাগিন (plugin) পেয়ে যাবেন, যেগুলি ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটের ক্ষমতা, সৌন্দর্য, ডিসাইন এবং ফাঙ্কশন (function) বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
  7. অনেক সহজে থিম (theme) বদলে দিয়ে নিজের ব্লগের ডিজাইন (design) ও বদলে দিতে পারবেন।
  8. সব রকমের latest এবং advanced function ওয়ার্ডপ্রেস আপনাদের দিবে। যেমন, social sharing options, responsive website design, SEO Friendly structure, easy customization, plugins ও আরো অনেক functions রয়েছে।
  9. Customize অপশনে গিয়ে, আপনারা নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর ডিজাইন অনেক সহজে এডিট করতে পারবেন live preview সহ।
  10. ইন্টারনেটে ওয়ার্ডপ্রেসের বিষয়ে অনেক অনেক টিউটোরিয়াল (tutorial) ভিডিও এবং আর্টিকেল পাবেন, যেগুলি দেখে অনেক সহজে জেকেও ওয়ার্ডপ্রেস এর বিষয়ে সহজে শিখে নিতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, এগুলি ছিল ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু লাভ ও সুবিধে। তাছাড়া, আরো অনেক লাভ বা সুবিধে এই সফটওয়্যার এর রয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাপারে যতই সুনাম করিনা কেন, সেটাও অনেক কম।

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানোর জন্য, এই CMS software একবার যে ব্যবহার করবেন, সে চিরকাল এটাই ব্যবহার করবেন। কতটা সহজ এবং ভালো এই সফটওয়্যার, সেটা কেবল একবার ব্যবহার করেই বুঝবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কত দিন লাগবে ?

প্রথম অবস্থায়, লোকেরা ভাবেন ওয়ার্ডপ্রেস অনেক কঠিন। হে, প্রথমে আপনার সেরকম লাগবেই। কিন্তু, কিছু দিন নিজের WordPress dashboard এ গিয়ে অপসন গুলি ব্যবহার করলেই আপনারা অনেক সহজে এর ব্যবহার শিখে যাবেন।

তাছাড়া, ইন্টারনেটে WordPress এর সাথে জড়িত সব রকমের টিউটোরিয়াল ভিডিও বা আর্টিকেল আপনারা পেয়ে যাবেন। সেগুলি একবার পরেই সবটাই আস্তে আস্তে শিখে যাবেন।

তাই, ওয়ার্ডপ্রেসের আসল এবং জরুরি বিষয় গুলি যেমন, কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন, প্লাগিন কিভাবে ইনস্টল করবেন, নিজের ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে করবেন, থিম ইনস্টল করার নিয়ম, এবং এই ধরণের বিষয় গুলি আপনারা কেবল একবার দেখেই শিখে নিতে পারবেন।

তাই, যদি ভালো ভাবে বিষয়টি নিয়ে ঘাটা ঘাঁটি করেন, তাহলে কেবল ১ সপ্তাহের মধ্যেই ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে শিখে যাবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ কি ?

ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ আমার মতে উজ্জ্বল। কারণ গুলোও সুস্পষ্ট, প্রথমত, ধীরে ধীরে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার থেকে একজন ডিজাইনার হবেন কারণ আপনি এইচটিএমএল, সিএসএস শিখবেন। এরপর যখন আপনি পিএইচপি এবং মাইসিকুয়েল শিখবেন নিজেকে ওয়েব ডিজাইনার থেকে ওয়েব ডেভেলপার এর দিকে নিয়ে যাবেন। তার মানে কি দাঁড়াল? আপনি শুরু করলেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে, হয়ে গেলেন ওয়েব ডেভেলপার। আর একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপার চাহিদা বা মূল্য যাই বলি না কেন, অনেক বেশি। দ্বিতীয়ত, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ব্যবহার করে ব্লগিং করে অর্থ ও উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে সব থেকে আলোচিত বিষয় ফ্রীলান্সিং। ফ্রীলান্সিং মার্কেট গুলোতে একজন ভাল মানের ওয়েব ডেভেলপারের কদর বেশ। আপনি খুব সহজেই ভাল মানের ফ্রীলান্সার হিসেবে নিজেকে একটি জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। তৃতীয়ত, আপনি যদি কোন আইটি ফার্ম খুলতে চান, তাহলে আপনাকে মেন্টালি সাহায্য করবে, এক জন ডেভেলপার হিসেবে। এর বাহিরেও আর ও অনেক বিষয় আছে যা আমি এখানে আলোচনা করতে চাইছি না। এক কোথায় বলা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ সব থেকে পরিষ্কার এবং সম্ভাবনাময়।

Leave a Comment