কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হওয়া যায় ? বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস (csm) ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোন সাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন খুবই কম সময়ে। কেবল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারই নয় কর্পোরেট এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতেও এখন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চাহিদা অনেক। একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার (WordPress Developer) ওয়ার্ডপ্রেস থিম ও প্লাগইন তৈরি ও আপডেটের কাজ করে থাকেন। ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণে এ পেশার চাহিদা অনেক।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার (WordPress Developer) হওয়াটা অনেক সহজ যেমন আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের থিম কাস্টমাইজেশন করলেন, স্পিড অপ্টিমাইজেশন অথবা বাগ ফিক্সিং করলেন এগুলাই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলাপার (WordPress Developer) করে থাকে, এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তেমন ভালো হবে না।
তবে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম, প্লাগিন, পেইজ বিল্ডারস এরকম কিছু ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে সেক্ষত্রে আপনাকে কিন্তু PHP জানতে হবে, আর যিনি PHP জানেন তিনিই মূলত ওয়েব ডেভেলপার। একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে একটা পোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ খুব ভালো ভাবে জানতেই হবে। তাছাড়া আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হন তাহলে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট আপনার নিজের মত কোডিং করে বানাতে পারবেন। সুতরাং আপনি যদি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে ওয়েব ডেভেলপার হতে হবে।
আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার (WordPress Developer) হতে চান, তাহলে আমি আপনাকে প্রথমত প্রশ্ন করবো আপনি ফ্রন্ট ইন্ড ডেভেলপার হবেন না ব্যাক ইন্ড ডেভেলপার হবেন? এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ফ্রন্ট ইন্ড আর ব্যাক ইন্ড আবার কি জিনিস ।
ফ্রন্ট ইন্ডঃ সাধারণত আমরা বিভিন্ন যে ওয়েব সাইট ব্রাউজ করি । ওয়েব সাইট ব্যবহারের সময় যে অংশ গুলো ব্যবহার কারী দেখতে পায়, মূলত সেটাই ফ্রন্ট ইন্ড ।
ব্যাক ইন্ডঃ আর ওয়েব সাইটে বিভিন্ন কাজ অটোমেটিক হয় , আমরা দু চার টা ক্লিক করলে মুহুর্তে ফলাফল প্রদর্শিত হয় । এই রেজাল্ট প্রদর্শিত হবার পিছনে যে এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছেন তিনি কিছু কমান্ড লিখে রেখেছেন । মূলত ব্যাক ইন্ড এ যা ঘটে তা ব্যবহারকারী গণ দেখতে পায় না ।
আপনি যদি ফ্রন্ট ইন্ড ডেভেলপার হতে চান তা হলে আপনাকে প্রথমত HTML, CSS, CSS3, বুটস্ট্র্যাপ-৪, JavaScript, জেকুয়েরি শিখতে হবে।তারপর কাজ হবে আপনার পিএসডি টু এইচটিএমএল ভালো ভাবে শিখতে হবে । এর পর আপনি আরও ভালো ডেভেলপার হতে চাইলে আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্ট এর যেকোনো একটা ফ্রেমওয়ার্ক শিখতে হবে । বর্তমানে রিয়্যাক্ট , ভিউ জেএস, এংগুলার এর যেকোনো একটা শিখতে পারেন । তারপর জাভাস্ক্রিপ্ট এর ফ্রেমওয়ার্ক শেখা হলে দু-চার টা প্রজেক্ট করুন । এর পরে ভার্সন কন্ট্রোল এর জন্য আপনাকে গিট শিখতে হবে । আর কাজের মধ্যে স্প্রিড নিয়ে আসার জন্য আপনাকে সিএসএস এর প্রি-প্রসেসর স্যাস বা লেস শিখতে হবে ।
আর ব্যাকইন্ড ডেভেলপার হতে চাইলে আপনাকে পিএইচপি, মাইএসকিউএল, এজাক্স, ওওপি ভালোভাবে শিখতে হবে । তারপরে পিএইচপি এর যেকোনো একটা ফ্রেমওয়ার্ক শিখতে হবে । বর্তমানে লারাভেল ফ্রেমওয়ার্ক ভালো চলতেছে । চাইলে এটা শিখতে পারেন । বা অন্য কোনো ফ্রেমওয়ার্ক । আপনি চাইলে ব্যাকইন্ড ডেভেলপমেন্ট জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করতে পারেন । সেজন্য আপনাকে প্রথমত জাভাস্ক্রিপ্ট ভালো করে শিখতে হবে । তারপরে আপনাকে নোড জেএস শিখতে হবে । আর ডাটাবেসের জন্য মাইএসকিউএল বা মংগোডিবি শিখতে হবে । আর অব্যশই ওওপি সমপর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে ।
WordPress Developer
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার কি কাজ করেন ?
- আইটি ফার্মে
- আউটসোর্সিং ফার্মে
- ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে
- সরকারি প্রতিষ্ঠান বা প্রজেক্টে (যেখানে অনলাইন কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ রয়েছে)
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা প্রজেক্টে (যেখানে অনলাইন কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ রয়েছে)
- মিডিয়া কোম্পানিতে
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার কী ধরনের কাজ করেন ?
- ক্লায়েন্টের চাহিদা বা প্রজেক্টের মূল কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া ও পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা।
- ওয়েবপেইজ/ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের প্রাথমিক লেআউট তৈরির ব্যাপারে ওয়েব ডিজাইনারের সাথে আলোচনা করা।
- প্রজেক্টের জন্য আলাদা ওয়েব ডিজাইনার না থাকলে ওয়েবপেইজ/ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের প্রাথমিক লেআউট তৈরি করা।
- ডিজাইনের ভিত্তিতে থিম বা প্লাগইনের প্রাথমিক ভার্সন তৈরি করা।
- থিম বা প্লাগইনের কার্যকারিতা বিভিন্ন ডিভাইসে ও ব্রাউজারে পরীক্ষা করা।
- থিম বা প্লাগইনের চূড়ান্ত ভার্সন রিলিজ করা।
- নিয়মিত থিম বা প্লাগইন আপডেট করা।
- প্রজেক্টের ক্ষেত্রে কাজ শেষ হবার পর ক্লায়েন্টের কাছে প্রজেক্ট হস্তান্তর করা।
- প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে ক্লায়েন্টকে টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়া।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের চাহিদা
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের (wordpress developer) চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অসংখ্য ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরী করা হচ্ছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করে বা কাস্টোমাইজ থিম ব্যবহার করে। ভালো মানের প্রিমিয়াম থিম তৈরী করতে পারলে অবশ্যই সেটি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেকবার বিক্রয় করা সম্ভব। প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করা হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে। সুতরাং এদের মধ্যে ৪০ ভাগ ব্যবহারকারী ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করে তাহলে প্রতিদিন ৪০ হাজার ওয়ার্ডপ্রেস ক্রেতা তৈরী হচ্ছে। শুধু তাই নয় বরং ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কাস্টোমাইজেশনের জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলিতে প্রচুর কাজ জমা পড়ে আছে। সুতরাং ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের (wordpress developer) চাহিদা যে আকাশ চুম্বী সেটি সহজেই বুঝা যায়।
কোথায় ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখবেন ?
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে সর্ব প্রধান কাজ হল নিজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা। এরপর এই লাইনে এক্সপার্ট একজন মানুষের পরামর্শ মত প্রতি ধাপে ধাপে আগানো। কোন ট্রেনিং সেন্টার শিখলে সেটার পাশাপাশি নিজে নিজে প্রচুর প্র্যাকটিস করেন আর গুগলকে কাজে লাগান। যেই বিষয় যখনই কোন সমস্যা মনে হবে তখনই ট্রেনিং সেন্টারের আশার ফেলে না রেখে গুগলে সার্চ দিয়ে বিষয়টা জেনে নিবেন। ওই ট্রেনিং সেন্টার আপনাকে যা শিখাবে তার চেয়ে ভাল শিখতে পারবেন যদি আপনি গুগলকে কাজে লাগাতে পারেন। নিয়মিত ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে পড়াশোনা করা লাগবে। ডাব্লিউ পি টিউটস (নেটটিউটস), ওয়ার্ডপ্রেস বিগিনার, ডিগিং ইনটু ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়ার্ডপ্রেস ট্যাভার্ন, ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপ্লোরার ইত্যাদি চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে রাখা উচিত এবং তাদের আপডেটগুলো ফলো করা দরকার। বিভিন্ন সময় অন্যদের তৈরী করা প্লাগইন নামিয়ে সেগুলোর কোড দেখা উচিত যাতে নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, প্রয়োজনের সময় যাতে সেটার প্রয়োগ করা যায়।
Sources:
1. https://wpapprentice.com
2. https://codex.wordpress.org
3. https://wpbeginner.com
ওয়ার্ডপ্রেস শেখার কয়েক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যা একজন ব্যক্তি কোনটা শিখবে তার উপর নির্ভর করে। পুরোটা নির্ভর করে কোন কাজের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস শেখা হচ্ছে। যদি কেউ লেখালেখি তথা ব্লগিং এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চায় তাহলে তাকে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করলেই হবে আবার কেউ যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ডেভলপ করা শিখতে চায় তাকে বাড়তি অনেক নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। নিচে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার প্রাথমিক কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো।
ব্লগিং: এর জন্য ভালো লেখালেখির হাত থাকা দরকার অবশ্যই এবং এর বাইরে HTML এবং CSS এর জ্ঞান থাকলে আরও ভালো। এবং এর বাইরে ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড ম্যানেজমেন্ট শিখে নিলেই ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগিং খুব সহজ ভাবেই করা সম্ভব।
ফ্রন্ট এন্ড ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট: ওয়ার্ডপ্রেস নির্ভর ফ্রন্ট এন্ড ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে HTML, CSS, JavaScript, jQuery, PHP, MySQL এ দক্ষ হওয়া আবশ্যক এবং এর পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেস এর সম্পূর্ণ ডকুমেন্টেশন অনুসরণ করা আবশ্যকীয়।
থিম ডেভলপমেন্ট: ব্লগিং এবং ফ্রন্ট এন্ড ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্টের পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেসের আরও একটি পেশাগত দিক হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম ডেভেলপমেন্ট। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপার হতে চাইলে ফ্রন্ট এন্ড ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর সকল দক্ষতার পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম ডেভলপমেন্ট গাইড অনুসরণ করতে হবে।
প্লাগিন ডেলপমেন্ট: প্লাগিন ডেভলপমেন্ট ওয়ার্ডপ্রেসের আরও একটি পেশাগত ক্ষেত্র। এটি মূলত ব্যাক এন্ড ডেভলপমেন্ট ক্ষেত্র এবং প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে অবশ্যই উপরের সবগুলো দক্ষতা থাকার পাশাপাশি প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট হ্যান্ডবুক অনুসরণ করতে হবে।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, কম্পিউটার সিস্টেম ডিজাইন কিংবা ইনফরমেশন টেকনোলজির উপর অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পারেন।
এর বাইরে বিভিন্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের উপর শর্ট কোর্স ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন:
- ক্রিয়েটিভ আইটির ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স
- ওয়েবসাইট সলিউশনস ডট বিডির ওয়ার্ডপ্রেস ট্রেনিং
নিজে থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের মূল বিষয়গুলো শিখতে চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল কোডেক্সে যেতে পারেন।
কী ধরনের যোগ্যতা থাকে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের ?
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসাবে কাজ পেতে চাইলে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কম্পিউটার সায়েন্স/ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ডিগ্রি থাকলে তা কাজে দেবে।
প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, কাজের পোর্টফোলিও থাকলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে। আপনি যদি বিভিন্ন ছোট কোর্সের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের কাজ শেখেন, তাহলে আপনার জন্য পোর্টফোলিও থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য ডিগ্রিধারী ডেভেলপারদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য।
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয় ?
প্রজেক্টের উপর টেকনিক্যাল জ্ঞানের ধরন নির্ভর করে। এরপরও সাধারণ উদাহরণ হিসাবে নিচের স্কিলগুলোর কথা বলা যায় –
- ফ্রন্ট-এন্ড কোডিং স্কিল: HTML, CSS, JavaScript, jQuery
- ব্যাক-এন্ড কোডিং স্কিল: PHP
- ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট: MySQL
- সাইবার সিকিউরিটি
- গিটহাব (GitHub)
- অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API): REST API
নন-টেকনিক্যাল দক্ষতার মধ্যে আপনার প্রয়োজন হবে –
- সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা;
- বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে;
- নিজে নিজে কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের সাথেও কাজ করার মানসিকতা থাকা;
- বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা।
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের মাসিক আয় কত ?
বাংলাদেশী অনেক ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার রয়েছেন যারা ফ্রিল্যান্সার এবং আপওয়ার্ক সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ ডলার রেটে কাজ করে থাকেন। একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার কাজ শুরু করতে পারেন ন্যূনতম ১০ থেকে ১২ ডলার প্রতি ঘন্টা রেটে। অর্থ্যাৎ দিনে যদি কেউ ৮ ঘন্টা কাজ করেন তবে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের প্রাথমিক আয় শুরু হবে প্রতি দিন ৮০ থেকে ১০০ ডলার, মাসে ৩ হাজার ডলার। আমাদের দেশে অভিজ্ঞতা ছাড়া বা স্বল্প অভিজ্ঞ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের আনুমানিক গড় আয় মাসিক ৳২৫,০০০ টাকা। দেশের বাইরে গেলে আয় মাসিক ৳২০০,০০০ টাকা থেকে ৳৪০০,০০০ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।
এ তো গেল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর কথা, আবার একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার(wordpress developer) চাইলে ফ্রিল্যান্স কাজ না করেও নিজস্ব ওয়ার্ডপ্রেস প্রোডাক্ট তৈরি করেও বিশাল আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারেন। যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করেও সেগুলো বিক্রি করতে পারেন বিভিন্ন থিম মার্কেটপ্লেসে। থিম বিক্রির জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস থিমফরেস্টের কর্পোরেট ক্যাটেগরির সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া থিমগুলোই একবার দেখুন, কি পরিমাণ রেভিনিউ এসেছে একেকটা থিম থেকে। ইউ ডিজাইন নামে একটি থিম রয়েছে থিমফরেস্টে, যেটি বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এখনও প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে এ থিমটি। এর পরের থিমগুলোও বিক্রি হয়েছে ৬ কোটি টাকা-৭ কোটি টাকা। চিন্তা করে দেখুন একবার, এক থিম ডেভেলপ করে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপাররা কি পরিমাণ টাকা ঘরে নিচ্ছেন। থিম বিক্রির এ মার্কেটপ্লেসে থিম বিক্রির গড় হার ১০ লাখ টাকা করে। অর্থাৎ সময় এবং নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে থিম তৈরি করেও বিপুল পরিমাণ আয় করার সুযোগ রয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের একটা অংশ আসতে পারে নিজের ঘরেও!
কেবল প্রোডাক্ট কিংবা ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারই নয়, কর্পোরেট এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতেও এখন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের(wordpress developer) চাহিদা অনেক। বিদেশি কোম্পানিগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের প্রচুর চাহিদা, আর এখন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চাকুরির সুযোগ বাড়ছে।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এখন এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে কাজের আসলে কোন অভাব নেই। বিশাল এই কাজের ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য কেবল প্রয়োজন দক্ষতা। আপনার যদি মনোবল আর ইচ্ছা থাকে, তবে এই দক্ষতা অর্জন কোন ব্যাপারই নয়।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের ?
শুরুতে শুধু প্রজেক্ট নির্ভর ছোট বা মাঝারি আকারের কাজ করলেও চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সিনিয়র ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার পদে উন্নীত হবেন। এক্ষেত্রে বড় আকারের প্রজেক্ট বা বড় মাপের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া আপনার দক্ষতা আর নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের ভিত্তিতে নিজের দল চালানোর কাজ পেতে পারেন।
কনসালট্যান্ট বা ফ্রিল্যান্সার হিসাবেও সার্ভিস দিতে পারেন অন্যদের। এক্ষেত্রে আয়ের সুযোগ আরো বড় হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার এর ভবিষ্যৎ কি ?
আমরা অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আগ্রহী কিন্ত যে দিক গুলো ভালো করে অবশ্যই বুঝতে হবে সেটা মাথায় আসে না । তাই এই স্টেপ গুলো ফলো করতে পারেন ।
১। কিভাবে লোকাল সার্ভার / লাইভ সার্ভার এ ওয়ার্ডপ্রেস ইন্টল করতে হয়।
২। ওয়েবসাইট এর ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড এর সাথে পরিচিত হওয়া।
৩। পেজ ও পোস্ট এর সাথে পরিচিত হওয়া।
৪। কিভাবে পোস্ট করতে হয় , ক্যাটাগরি, ট্যাগ ব্যাবহার করতে হয়।
৫। মেনু কিভাবে এড করতে হয়।
৬। মিডিয়া লাইব্রেরি এর ব্যাবহার ।
৭। ওয়ার্ডপ্রেস এর পেজ তৈরি করা
৮। কমেন্ট কাস্টমাইজ করা।
৯। ওয়ার্ডপ্রেস সেটিং – General, Writing, Reading, permalink. এর ব্যাবহার।
১০। থিম, প্লাগিন ইন্সটল করা ও ব্যাবহার করা।
১১। সাইডবার widget এর সাথে পরিচিত হওয়া।
১২। ডাটাবেজ এর সাথে পরিচিত হওয়া।
অনেকে একটা কথা যারা মনে করেন যে ওয়ার্ডপ্রেস এ তো কোডিং করতে হয় না । আবার অনেকেই প্রশ্ন করেন আমি কি কোডিং ছাড়া কাজ করতে পারব ? হ্যা পারবেন কিন্ত আপনি যদি প্রফেশনাল হতে চান আপনাকে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আপনি অনেক ভালো মানের ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপ করে খুব ভালো আয় করতে পারবেন।
সাধারন ভাবে চিন্তা করেন বর্তমানে কত হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে এগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করার দরকার হচ্ছে। এই কাজ গুলো কেউ না কেউ অবশ্যই করছে। এখানে অনেক কাজ আছে আপনাকে শুধু দক্ষ হতে হবে।